আমার এলাকার গরীব-দুখী মানুষের জন্য একটি কলেজ নির্মান ছিলো আমার আজন্ম স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণে যারা অমাকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করেছেন তাদের কাছে আমি চিরঋণী ও চিরকৃতজ্ঞ।
প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের বানী
আলোকিত মানুষ গড়ার ক্ষেত্রে একটি ভালো শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান সব সময় গুরুত্ব বহন করে। গোপালগঞ্জ জেলায় প্রতিষ্ঠিত কাজী মন্টু কলেজ
তার মধ্যে অন্যতম একটি। শৈশব জীবন ও কিশোর ছাত্র জীবনে কয়েক কিলোমিটার
রাস্তা পায়ে হেটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার স্মৃতি আজও আমাকে তাড়িয়ে
বেড়ায়। মেধা থাকা সত্বেও বাস্তব প্রতিকূলতার মুখে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে।
তাই শিক্ষিত ও মেধাবী জাতি গড়ে তুলতে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া
থানাধীন বিভিন্ন প্রাইমারী স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের পাশপাশি আমার বাবা
মরহুম কাজী মাহমুদ হোসেন মন্টু তার নামে প্রতিষ্ঠা করেন এই কলেজটি। ১৯৮৭ সালে
প্রতিষ্ঠিত কলেজটি এখন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রূপ লাভ করেছে। দক্ষ কলেজ পরিচালনা
পর্ষদের তত্বাবধানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকমন্ডলীর শিক্ষাদানে শিক্ষার্থীরা সেরা
ফলাফল করছে । আমি খুবই আনন্দিত হই যখন শুনি এ কলেজটি কোটালীপাড়ার মধ্যে সেরা
তালিকায় রয়েছে। আমি গর্ববোধ করি, যখন শুনি এ কলেজের শিক্ষার্থীরা উচ্চ
শিক্ষা নিয়ে কর্মক্ষেত্রে সফল হচ্ছে। তখন মনে করি আমার বাবার কলেজ প্রতিষ্ঠা বিফলে
যায় নি। বর্তমান প্রতিযোগিতার যুগে সৃজনশীল মেধা বিকাশে এ কলেজ অগ্রণী ভূমিকা পালন
করবে, এমনটাই কামনা করি সব সময়। আমার বাবার নামে এ কলেজ প্রতিষ্ঠা করার মধ্য
দিয়ে বাবার স্মৃতি আজও অম্লান হয়ে আছে। আমি মনে করি , পিতা মাতার প্রতি
শ্রদ্ধাবোধ, ভালোবাসা ও সম্মান দেখানো শিক্ষার্থীদের কর্তব্যের মধ্যে রয়েছে।
আর এ কর্তব্যবোধ হৃদয়ে ধারন করতে হবে সব শিক্ষার্থীকে। সততা, ন্যয়- নীতির মধ্য
দিয়ে শিক্ষিত জাতি গড়ে ওঠবে। সে দিন বেশি দুরে নয়, আমরা শতভাগ শিক্ষিত জাতি হিসেবে
আত্ম-মর্যাদাশীল হবো। উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হব। কাজী মন্টু কলেজের
অগ্রযাত্রা প্রশংসার দাবি রাখে। এই কলেজের নামে সমৃদ্ধ ওয়েব সাইটে সংরক্ষিত
সকল তথ্য উপাত্ত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ব পরিসরে স্থান পাবে এটাও কামনা
করছি।
কাজী মন্টু কলেজ এর মিশন: কাজী মন্টু কলেজএর মিশন হলো শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশ নিশ্চিত করা, যাতে তারা সমাজের জন্য উপযোগী, সৎ, ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। আমাদের লক্ষ্য: মানসম্মত শিক্ষা প্রদান: সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা নিশ্চিত করা, যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, দক্ষতা ও সৃজনশীলতাকে বৃদ্ধি করবে। নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ: শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করা, যাতে তারা সঠিক পথে পরিচালিত হতে পারে।
আরো পড়ুনকাজী মন্টু কলেজ এর ভিশন: আমাদের ভিশন হলো এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী সুশিক্ষিত, সৃজনশীল ও সমাজে কার্যকর ভূমিকা পালনকারী নাগরিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। আমরা একটি আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য: উচ্চ মানের শিক্ষার পরিবেশ: শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সমৃদ্ধ শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা, আরো পড়ুন
ঐতিহ্যবাহী কাজী মন্টু কলেজ ১৯৮৭ সাল থেকে এই জনপদে আধুনকি ও যুগোপযোগী শিক্ষার আলো বিস্তার করে যাচ্ছে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে এ প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। এ প্রতিষ্ঠানের গুণী শিক্ষক-শিক্ষিকা মণ্ডলীর অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি মানবীয় গুনাবলি অর্জনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠুক এটাই আমার একান্ত কাম্য। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শুধু লেখাপড়ায় নয়, সকল প্রকার সহশিক্ষা কার্যক্রমে আরও সক্রিয় অংশগ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুন্ন রাখবে এটাই আমার প্রত্যাশা। সুস্থধারার সাংস্কৃতি বিকাশ একটা জাতির জন্য খুবই প্রয়োজন। এ প্রতিষ্ঠানের একটি গ্রন্থাগার আছে এবং সেটাকে আরও সমৃদ্ধ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে অত্র প্রতিষ্ঠানটি গভর্নিংবডির তত্ত্বাবধানে এবং দক্ষ অধ্যক্ষের নেত্রিত্তে এক ঝাঁক মেধাবী ও খ্যাতিমান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কলেজের সার্বিক উন্নয়নে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সম্মানিত অভিভাবক-অভিভাবিকা, এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও আপামর জনসাধারণের সার্বিক সহযোগীতা আমি একান্ত ভাবে কামনা করছি। আমি প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সুস্বাস্থ্য ও র্দীঘায়ু কামনা করছি।
বিশ্ব আজ তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভরশীল। আধুনিক জাতি গঠনে এর কোন বিকল্প নেই। যার ধারাবাহিকতায় কাজী মন্টু কলেজ -এর বিভিন্ন কর্মকান্ড আজ ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ইন্টারনেট, কম্পিউটারের ব্যবহার, মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে অনেক শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক কর্মচারীদের যাবতীয় তথ্য কলেজের ওয়েবসাইটে সন্নিবেশিত হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই সকল শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়ার সাহায্যে পাঠদান সম্পন্ন করা হবে। এর জন্য বিভিন্ন শিক্ষক ICT এর উপর শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ থেকে প্রশিক্ষন গ্রহণ করেছেন। বাকি সকল শিক্ষক কলেজের নিজস্ব কম্পিউটার ল্যাবে ICT এর উপর In-house প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এখনও অব্যাহত আছে। কলেজের ওয়েবসাইট ছাত্রছাত্রীদের তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও জ্ঞান অর্জনের সহায়তা করবে বলে আমি আশাবাদী। আমি কলেজের সাফল্য ও মঙ্গল কামনা করছি।